২০২৬ সালে শবে মেরাজ কবে?
শবে মেরাজ মুসলমানদের জন্য একটি অত্যন্ত পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ রাত। এই রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহ তায়ালার বিশেষ কুদরতের মাধ্যমে মক্কা থেকে বায়তুল মুকাদ্দাস এবং সেখান থেকে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করেন। এই ঘটনাকেই বলা হয় ইসরা ও মিরাজ। শবে মেরাজ মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈমান বৃদ্ধি, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক অনন্য সুযোগ।
২০২৬ সালে শবে মেরাজ কবে?
ইসলামিক হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শবে মেরাজ পালিত হয় ২৭ রজব তারিখের রাতে।
২০২৬ সালে শবে মেরাজ পালিত হবে—
১৫ জানুয়ারি ২০২৬ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার পর থেকে
১৬ জানুয়ারি ২০২৬ (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত
উল্লেখ্য, ইসলামিক মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হওয়ায় দেশভেদে তারিখ একদিন আগে বা পরে হতে পারে। তাই স্থানীয় চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী তারিখ নিশ্চিত করা উত্তম।
শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য।
শবে মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক রাত। এই রাতেই মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়, যা ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। শবে মেরাজ আমাদের শেখায়—
নামাজের গুরুত্ব ও মর্যাদা।
আল্লাহর সাথে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের শিক্ষা ,ধৈর্য, ত্যাগ ও বিশ্বাসের শক্তি
এই রাত মুমিনদের জন্য আত্মসমালোচনা ও আল্লাহর কাছে ফিরে আসার এক সুবর্ণ সুযোগ।
শবে মেরাজে করণীয় আমল।
শবে মেরাজ উপলক্ষে নির্দিষ্ট কোনো ফরজ আমল না থাকলেও, এই পবিত্র রাতে কিছু নফল ইবাদত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—
১. নফল নামাজ আদায়
২. কুরআন তিলাওয়াত
৩. বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তিগফার
৪. দরুদ শরিফ পাঠ
৫. গুনাহ থেকে তওবা করা
এই আমলগুলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়ক এবং অন্তরের প্রশান্তি বৃদ্ধি করে।
শবে মেরাজ থেকে আমাদের শিক্ষা।
শবে মেরাজ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—
দুনিয়ার ব্যস্ততার মাঝেও আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করা কতটা জরুরি। নিয়মিত নামাজ, সৎ আমল ও নৈতিক চরিত্র গঠনের মাধ্যমে একজন মুসলমান দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে পারে।
উপসংহার
২০২৬ সালে শবে মেরাজ মুসলমানদের জন্য এক মহামূল্যবান রজনী। এই রাতকে গাফিলতিতে নষ্ট না করে ইবাদত, দোয়া ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে কাটানো উচিত। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সবাইকে এই পবিত্র রাতের বরকত লাভ করার তাওফিক দান করেন—আমিন।

0 মন্তব্যসমূহ