রিজিক বৃদ্ধির আমল । রিজিক বৃদ্ধির দোয়া ও আমল

 রিজিক বৃদ্ধির ৭ টি গুরুত্ত্বপূর্ণ আমল।

ইসলামে রিজিক বা জীবিকা শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের মাধ্যম নয়, বরং এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত। মানুষের জীবনে রিজিকের বৃদ্ধি ও বরকত আনতে ইসলামে বিভিন্ন আমলের নির্দেশনা রয়েছে। এই পোস্টে আমরা সেসব আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

Hossain Islamic Tips, রিজিক বৃদ্ধির আমল, ইসলামিক আমল, রিজিক বাড়ানোর উপায়, কুরআনের দোয়া, হাদিস ভিত্তিক আমল, দারিদ্র্য দূর করার আমল, বরকতের আমল, ইসলামিক টিপস বাংলা, আয় বৃদ্ধির দোয়া, ইসলামিক জীবনযাপন, ফজরের পর আমল, রিজিক বাড়ানোর দোয়া, রুহানী সমাধান, ইসলামি দোয়া ও আমল


রিজিক বৃদ্ধির জন্য ইসলামী আমলসমূহ

১. তওবা ও ইস্তেগফার

পাপ থেকে ফিরে আসা এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা রিজিক বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন

"আমি তাদের বলেছি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয় তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে উন্নতি দান করবেন।"
— সুরা নূহ (১০-১২)

এছাড়া, নবী করিম (সা.) বলেছেন,,

"যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তাকে সংকট থেকে মুক্তি দেবেন এবং এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।" যেমন – আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করা।
— আবু দাউদ

২. আল্লাহর ওপর ভরসা (তাওয়াক্কুল)

আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে কাজ করা রিজিক বৃদ্ধির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে:

"আর যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের পথ তৈরি করে দেবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।"
— সুরা তালাক (২-৩)

৩. হালাল উপার্জন

হালাল উপার্জন রিজিকের বরকতের জন্য অপরিহার্য। নবী করিম (সা.) বলেছেন:

"হালাল উপার্জন ফরজের পরেই ফরজ।"
— বায়হাকি

৪. দান-সদকা

আল্লাহর পথে দান করা রিজিক বৃদ্ধির একটি কার্যকর উপায়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে:

"বলুন, নিশ্চয় আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সংকুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় করো, তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকদাতা।"
— সুরা সাবা (৩৯)

৫. আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক

আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রিজিক বৃদ্ধির একটি মাধ্যম। নবী করিম (সা.) বলেছেন:

"যে ব্যক্তি কামনা করে যে তার রিজিক প্রশস্ত করা হোক এবং তার আয়ু দীর্ঘ করা হোক, সে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে।"
— বুখারি ও মুসলিম


প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করা রিজিক বৃদ্ধির একটি পরীক্ষিত আমল। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন:

"আমি আমার কন্যাদেরকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করে।"
— বায়হাকি

৭. হজ ও ওমরাহ পালন

লাগাতার হজ ও ওমরাহ পালন রিজিক বৃদ্ধির একটি মাধ্যম। নবী করিম (সা.) বলেছেন:

"তোমরা লাগাতার হজ ও ওমরাহ পালন করতে থাকো। কারণ, এর দ্বারা অভাব ও গুনাহ দূরীভূত হয়, যেমন কামারের হাপর লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে দেয়।"
— তিরমিজি


রিজিক বৃদ্ধির জন্য ইসলামে বিভিন্ন আমলের নির্দেশনা রয়েছে। এই আমলগুলো পালন করে আমরা আল্লাহর নেয়ামত লাভ করতে পারি এবং আমাদের জীবনে বরকত আনতে পারি। তবে, সবসময় মনে রাখতে হবে যে, রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ। তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।

আরো পড়ুন--জান্নাতে যাওয়ার তিনটি সহজ আমল

প্রশ্ন: সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করলে কি রিজিক বৃদ্ধি পায়?

উত্তর: হ্যাঁ, সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করলে রিজিক বৃদ্ধির একটি পরীক্ষিত আমল। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন:

"আমি আমার কন্যাদেরকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছি যে, তারা যেন প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করে।"
— বায়হাকি

প্রশ্ন: তওবা ও ইস্তেগফার করলে কি রিজিক বৃদ্ধি পায়?

উত্তর: হ্যাঁ, তওবা ও ইস্তেগফার করলে রিজিক বৃদ্ধি পায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন

"আমি তাদের বলেছি, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, নিশ্চয় তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল। তিনি আকাশ থেকে তোমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে উন্নতি দান করবেন।"
— সুরা নূহ (১০-১২)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url